দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় ফুল মুগুংহোয়া 무궁화

Spread the love

দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় ফুল মুগুংহোয়া বনাম বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা।

 

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় ফুলের নাম মুগুংহোয়া(무궁화)। শাব্দিক অর্থে স্বর্গীয় পুষ্প, চিরন্তন পুষ্প বা কখনোই ম্লান হয় না। অনেকেই একে কোরিয়ান গোলাপ বা শ্যারনের গোলাপ নামে ডেকে থাকে। কোরিয়ান্দের কাছে এটি গভীর স্নেহের একটি ফুল। এটি বহু শতাব্দী ধরে কোরিয়ান সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক ।

ইংরেজি নাম:Hibiscus syriacus হিবিস্কাস সিরিয়াকাস

বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস

কিংডোম: প্ল্যান্ট

ক্লেড: ট্র্যাকোফাইটস

ক্লেড: অ্যাঞ্জিওস্পার্মস

ক্লেড: ইউডিকোটস

ক্লেড: রোসিডস

অর্ডার: মালভালেস

ফ্যামিলি: মালভ্যাসেই

জেনাস: হিবিস্কাস

স্পেসিজ: এইচ সিরিয়াকাস

দ্বিপদী নাম হিবিস্কাস সিরিয়াকাস

 

ফুল ও ফুল গাছ: মুগুংহোয়া ফুল দেখতে অনেকটা বাংলাদেশি জবা ফুলের মত। পাঁচ পাপড়ির বিশিষ্ট এইট ফুল মাঝখানে পুষ্পক দন্ড রয়েছে‌।সাধারণত বেল-আকৃতির হয় এবং ডাঁটা সংক্ষিপ্ত হয়। ফুলগুলি প্রায় 7.5 সেন্টিমিটার ব্যাসের হয় এবং সাধারণত লাল রঙের বেগুনি হয় তবে সাদা, হালকা গোলাপী, গোলাপী, গভীর লাল, বেগুনি, বেগুনি, কমলা নীল এবং ইটের রঙ রয়েছে। ফুলের গোড়ায় প্রায়ই গাঢ়ো বর্ণের প্যাটার্ন থাকে। অনেকগুলো শাখাযুক্ত ডিম্বাকৃতির গাছ। ধূসর রঙের ডালপালা এবং কারো সবুজ রঙের পাতা। পাতার আকৃতি সাধারণত চার থেকে ছয় সেন্টিমিটার লম্বা এবং দুই থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার প্রস্থ , পাতার নিচে ছোট ছোট শুং আছে। গাছের উচ্চতা সাধারণত দুই থেকে চার মিটার পর্যন্ত হয়। ফুল ফোটার সময়: সাধারণত জুলাই মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ফুল ফোটে। একটি গাছে অনেক ফুল ফোটে। পরে প্রায় 2 হাজার থেকে তিন হাজার। জুলাই থেকে অক্টোবর মাস কখনো এই কাজ ফুল শূন্য হয় না।

 

রাষ্ট্রীয় গুরুত্ব ও মর্যাদা: কোরিয়ান সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রাচীন আরেকটি সাক্ষী হচ্ছে মুগুংহোয়া ফুল। প্রাচীন চাইনিজ লেখকরা তাদের বইতে করিয়ান দেরকে জ্ঞানী দেশের মানুষ বলে অবহিত করেছে কারণ তাদের দেশে মুগুংহোয়া ফুল ফোটে। জাপান কর্তৃক অন্ধকার স্বাশন যুগেও এ ফুলের প্রতি কোরিয়ান দের ভক্তি কখনো কমে নাই। কোরিয়ার জাতীয় সংগীতে স্থান করে নিয়েছে এই ফুল। (মুগুয়হোয়া, ৩০০০গ্রাম, নদী ভর্তি পানি এবং পাহাড় দিয়ে ভরা দেশ, সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ আমাদের দেশ সবার সেরা)। তাই জাপানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর এই ফুলকে জাতীয় ফুল করাটাই ছিল স্বাভাবিক। কোরিয়ানরা এফুলকে লালন করে ভালোবেসে, কারণ বহু সাফল্যের পাশাপাশি জাতির দুর্দশার দিনগুলো মুখোমুখি হয়েছিল তার প্রতিক এই ফুল।

 

কোরিয়া সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান যে লোগোটি ব্যবহার করা হয়, অনেকটা তারার মতো দেখতে পাঁচ পাপড়ি যুক্ত এবং মাঝখানের অংশে সেই সংস্থার নাম লেখা থাকে, এই লোগোটি হচ্ছে মুগুংহোয়া ফুল। কোরিয়ার রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত সনদে দুইটি ময়ুরের মাঝখানে যে লোগোটি ব্যবহার করা হয় তাও হচ্ছে মুগুংহোয়া ফুল।

 

এছাড়াও কোরিয়ানরা আরো কয়েকটি অর্থেই এই ফুলকে ব্যবহার করেন:

১: আমরা যেখানে যে অবস্থাতেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকি না কেন মুগুংহোয়া ফুলের মতো আমাদের সকলের বৃন্ত এক।

২: মুগুংহোয়া ফুলের সৌন্দর্যের মতোই আমাদের সকল ভাল কাজ রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা।

৩: মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমরা মুগুংহোয়ার মত কোরিয়ার ভালোবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন হবো না।

৪: এই ফুলের গাছ বা ডাল যে কোন জায়গাতে যে কোন অবস্থাতে রোপণ করলেই হয়ে যায়। কোরিয়ান দের কে পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে যেকোন স্থানে রেখে দিলে তারা সেই পরিবেশের সঙ্গে মিশে যেতে পারে।

৫: একটি ফুলের গাছ অনেক ফুল দিয়ে দেশের শোভাবর্ধন করে। প্রতিটি কোরিয়ান তার অনেকগুলো ভালো কাজের মাধ্যমে দেশকে সম্মানিত করেন। বর্তমানে করি আর যেকোনো স্থান থেকে চোখ মেলে তাকালে এই ফুলটি দেখা সম্ভব। প্রতিটি বাড়িতে প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি কোম্পানিতে প্রায় সব জায়গাতেই এই ফুলের গাছ রয়েছে। একটু চোখ মেলে অনুধাবন করলে বোঝা যায় কোরিয়ানরা এর ফুল কে কতটা ভালবাসে।

 

বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের নাম শাপলা। শাপলাকে কেন জাতীয় ফুল করা হলো? রাষ্ট্রের কি কি ইতিহাসের সঙ্গে শাপলা জড়িত? জাতীয় লোগো হিসেবে শাপলা কি কি অর্থ বহন করে? আপনাদের সকলের নিকট থেকে শাপলা সম্পর্কিত সুন্দর সুন্দর লেখা কমেন্ট বক্সে চাই। সবচাইতে সুন্দর লেখাটা আগামী পোস্টে আমাদের পেজে পোস্ট করা হবে।

বনাম বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা।

 

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় ফুলের নাম মুগুংহোয়া(무궁화)। শাব্দিক অর্থে স্বর্গীয় পুষ্প, চিরন্তন পুষ্প বা কখনোই ম্লান হয় না। অনেকেই একে কোরিয়ান গোলাপ বা শ্যারনের গোলাপ নামে ডেকে থাকে। কোরিয়ান্দের কাছে এটি গভীর স্নেহের একটি ফুল। এটি বহু শতাব্দী ধরে কোরিয়ান সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক ।

ইংরেজি নাম:Hibiscus syriacus হিবিস্কাস সিরিয়াকাস

বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস

কিংডোম: প্ল্যান্ট

ক্লেড: ট্র্যাকোফাইটস

ক্লেড: অ্যাঞ্জিওস্পার্মস

ক্লেড: ইউডিকোটস

ক্লেড: রোসিডস

অর্ডার: মালভালেস

ফ্যামিলি: মালভ্যাসেই

জেনাস: হিবিস্কাস

স্পেসিজ: এইচ সিরিয়াকাস

দ্বিপদী নাম হিবিস্কাস সিরিয়াকাস

 

ফুল ও ফুল গাছ: মুগুংহোয়া ফুল দেখতে অনেকটা বাংলাদেশি জবা ফুলের মত। পাঁচ পাপড়ির বিশিষ্ট এইট ফুল মাঝখানে পুষ্পক দন্ড রয়েছে‌।সাধারণত বেল-আকৃতির হয় এবং ডাঁটা সংক্ষিপ্ত হয়। ফুলগুলি প্রায় 7.5 সেন্টিমিটার ব্যাসের হয় এবং সাধারণত লাল রঙের বেগুনি হয় তবে সাদা, হালকা গোলাপী, গোলাপী, গভীর লাল, বেগুনি, বেগুনি, কমলা নীল এবং ইটের রঙ রয়েছে। ফুলের গোড়ায় প্রায়ই গাঢ়ো বর্ণের প্যাটার্ন থাকে। অনেকগুলো শাখাযুক্ত ডিম্বাকৃতির গাছ। ধূসর রঙের ডালপালা এবং কারো সবুজ রঙের পাতা। পাতার আকৃতি সাধারণত চার থেকে ছয় সেন্টিমিটার লম্বা এবং দুই থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার প্রস্থ , পাতার নিচে ছোট ছোট শুং আছে। গাছের উচ্চতা সাধারণত দুই থেকে চার মিটার পর্যন্ত হয়। ফুল ফোটার সময়: সাধারণত জুলাই মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ফুল ফোটে। একটি গাছে অনেক ফুল ফোটে। পরে প্রায় 2 হাজার থেকে তিন হাজার। জুলাই থেকে অক্টোবর মাস কখনো এই কাজ ফুল শূন্য হয় না।

 

রাষ্ট্রীয় গুরুত্ব ও মর্যাদা: কোরিয়ান সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রাচীন আরেকটি সাক্ষী হচ্ছে মুগুংহোয়া ফুল। প্রাচীন চাইনিজ লেখকরা তাদের বইতে করিয়ান দেরকে জ্ঞানী দেশের মানুষ বলে অবহিত করেছে কারণ তাদের দেশে মুগুংহোয়া ফুল ফোটে। জাপান কর্তৃক অন্ধকার স্বাশন যুগেও এ ফুলের প্রতি কোরিয়ান দের ভক্তি কখনো কমে নাই। কোরিয়ার জাতীয় সংগীতে স্থান করে নিয়েছে এই ফুল। (মুগুয়হোয়া, ৩০০০গ্রাম, নদী ভর্তি পানি এবং পাহাড় দিয়ে ভরা দেশ, সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ আমাদের দেশ সবার সেরা)। তাই জাপানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর এই ফুলকে জাতীয় ফুল করাটাই ছিল স্বাভাবিক। কোরিয়ানরা এফুলকে লালন করে ভালোবেসে, কারণ বহু সাফল্যের পাশাপাশি জাতির দুর্দশার দিনগুলো মুখোমুখি হয়েছিল তার প্রতিক এই ফুল।

 

কোরিয়া সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান যে লোগোটি ব্যবহার করা হয়, অনেকটা তারার মতো দেখতে পাঁচ পাপড়ি যুক্ত এবং মাঝখানের অংশে সেই সংস্থার নাম লেখা থাকে, এই লোগোটি হচ্ছে মুগুংহোয়া ফুল। কোরিয়ার রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত সনদে দুইটি ময়ুরের মাঝখানে যে লোগোটি ব্যবহার করা হয় তাও হচ্ছে মুগুংহোয়া ফুল।

 

এছাড়াও কোরিয়ানরা আরো কয়েকটি অর্থেই এই ফুলকে ব্যবহার করেন:

১: আমরা যেখানে যে অবস্থাতেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকি না কেন মুগুংহোয়া ফুলের মতো আমাদের সকলের বৃন্ত এক।

২: মুগুংহোয়া ফুলের সৌন্দর্যের মতোই আমাদের সকল ভাল কাজ রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা।

৩: মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমরা মুগুংহোয়ার মত কোরিয়ার ভালোবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন হবো না।

৪: এই ফুলের গাছ বা ডাল যে কোন জায়গাতে যে কোন অবস্থাতে রোপণ করলেই হয়ে যায়। কোরিয়ান দের কে পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে যেকোন স্থানে রেখে দিলে তারা সেই পরিবেশের সঙ্গে মিশে যেতে পারে।

৫: একটি ফুলের গাছ অনেক ফুল দিয়ে দেশের শোভাবর্ধন করে। প্রতিটি কোরিয়ান তার অনেকগুলো ভালো কাজের মাধ্যমে দেশকে সম্মানিত করেন। বর্তমানে করি আর যেকোনো স্থান থেকে চোখ মেলে তাকালে এই ফুলটি দেখা সম্ভব। প্রতিটি বাড়িতে প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি কোম্পানিতে প্রায় সব জায়গাতেই এই ফুলের গাছ রয়েছে। একটু চোখ মেলে অনুধাবন করলে বোঝা যায় কোরিয়ানরা এর ফুল কে কতটা ভালবাসে।

 

বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের নাম শাপলা। শাপলাকে কেন জাতীয় ফুল করা হলো? রাষ্ট্রের কি কি ইতিহাসের সঙ্গে শাপলা জড়িত? জাতীয় লোগো হিসেবে শাপলা কি কি অর্থ বহন করে? আপনাদের সকলের নিকট থেকে শাপলা সম্পর্কিত সুন্দর সুন্দর লেখা কমেন্ট বক্সে চাই। সবচাইতে সুন্দর লেখাটা আগামী পোস্টে আমাদের পেজে পোস্ট করা হবে।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *