পেশাগত দুর্ঘটনার সংজ্ঞা
পেশাগত দুর্ঘটনার সংজ্ঞা
– “পেশাগত দুর্ঘটনা” বলতে বুঝাবে পেশাগত কারণে কোন শ্রমিকের ক্ষত সৃষ্টি, রোগ, বিকলাঙ্গতা বা মৃত্যু (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 5-এর উপঅনুচ্ছেদ 1)।
দায়িত্ব পালনকালে দুর্ঘটনার ফলে পেশাগত দুর্ঘটনা স্বীকৃতির মান
দায়িত্ব পালনকালে দুর্ঘটনার কারণে পেশাগত দুর্ঘটনা ঘটেছে।
– দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় কোন শ্রমিকের জখম, রোগ বা বিকলাঙ্গতা বা মৃত্যু যদি নিম্নোক্ত যেকোন একটি ঘটনার কারণে হয়, তাহলে তা পেশাগত দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 37 (1)-এর মূলবাক্য)।
· তাদের চাকরির চুক্তিপত্র অনুযায়ী দায়িত্ব পালনকালে সৃষ্ট যেকোন দুর্ঘটনা বা আনুষঙ্গিক অন্যান্য ঘটনা;
· তাদের ব্যবসার মালিকের কোন ফ্যাসিলিটি, ইত্যাদিতে ত্রুটি বা যত্নহীন ব্যবস্থাপনার কারণে ওই ফ্যাসিলিটি, ইত্যাদি ব্যবহারকালে সৃষ্ট কোন দুর্ঘটনা;
· তাদের ব্যবসা মালিকের সৌজন্যে আয়োজিত অথবা তার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কোন অনুষ্ঠানে যোগদানকালে অথবা ওই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিকালে সৃষ্ট দুর্ঘটনা;
· কর্মঅবকাশকালে এমন কোন কাজের ফলে সৃষ্ট দুর্ঘটনা যা তাদের ব্যবসার মালিকের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার অধীনে ছিলো বলে প্রতিয়মান হবে;
· তাদের দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য যেকোন দুর্ঘটনা।
শ্রমিকের দায়িত্ব ও দুর্ঘটনার মধ্যে একটি সন্নিকটবর্তী কারণগত সম্পর্ক থাকবে।
– পেশাগত দুর্ঘটনা স্বীকৃতির মান সম্পর্কিত উপরের বর্ণনা সত্ত্বেও, শ্রমিকের দায়িত্বপালনের সঙ্গে কোন দুর্ঘটনা (জখম, বিকলাঙ্গতা বা মৃত্যু)’র সন্নিকটবর্তী কারণগত সম্পর্ক না থাকলে তা পেশাগত দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য হবে না (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 37 (1)-এর অনুবিধি)
– সন্নিকটবর্তী কারণগত সম্পর্কের সংজ্ঞা
· একটি “সন্নিকটবর্তী কারণগত সম্পর্ক” স্বীকার করা হবে যদি কোন সুনির্দিষ্ট পেশাগত দুর্ঘটনা কোন সুনির্দিষ্ট দায়িত্বপালনের কারণে ঘটেছে বলে সাধারণ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান দ্বারা প্রতীয়মান হয়।
– কারণগত সম্পর্ক প্রমাণের দায়িত্ব
· বীমা সূবিধা গ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তি (কোন শ্রমিক বা তাদের জীবিত)’দের ওপর কোন কারণগত সম্পর্ক প্রমাণের দায়িত্ব বর্তাবে (সুপ্রিম কোর্টের রায়, 10 নভেম্বর 2005, মামলা নং 2005 ডিইউ 8009)।
– কারণগত সম্পর্ক নির্ণয়ের মাণদণ্ড
· গড়পরতা মানুষের স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার পরিববর্তে, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে দুর্ঘটনা ও শ্রমিকের দায়িত্বের মধ্যে সন্নিকটবর্তী কারণগত সম্পর্ক নির্ধারিত হবে (সুপ্রিম কোর্টের রায়, 31 জানুয়ারি 2008, মামলা নং 2006 ডিইউ 8204, সুপ্রিম কোর্টের রায়, 10 নভেম্বর 2005, মামলা নং 2005 ডিইউ 8009)।
– কারণগত সম্পর্ক প্রমাণের মাত্রা
· কোন কারণগত সম্পর্ক সুষ্পষ্টভাবে, চিকিৎসাগত বা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করার প্রয়োজন পড়বে না। কর্মচারী হিসেবে কোম্পানিতে যোগদানের সময় শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা, কিভাবে রোগের উৎপত্তি ঘটেছে, রোগের বিস্তারিত বিবরণ, চিকিৎসার অগ্রগতি, ইত্যাদি সার্বিকভাবে বিবেচনা করে যদি দুর্ঘটনার সঙ্গে দায়িত্বের সন্নিকটবর্তী কারণগত সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় তাহলেই কারণগত সম্পর্ক স্বীকৃতি দেয়া যেতে পারে (সুপ্রিম কোর্টের রায়, 12 এপ্রিল 2007, মামলা নং 2006 ডিইউ 4912)।
– দায়িত্বপালনকালে দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট পেশাগত দুর্ঘটনা নিরূপণ
· সংঘটনের সময় বা স্থান দ্বারা নির্দিষ্ট করা যায় এমন “দায়িত্বপালনকালে দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট পেশাগত দুর্ঘটনা”র ক্ষেত্রে, কোন শ্রমিক তাদের ওই ধরনের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্ম সম্পাদন বা তৎপরতা চালানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা তা বিচার করতে হবে।
· সংঘটনের সময় বা স্থান দ্বারা নির্দিষ্ট করা যায় না এমন “দায়িত্বপালনকালে দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট পেশাগত দুর্ঘটনা”র ক্ষেত্রে, শুধু দায়িত্ব ও দুর্ঘটনার মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক বিবেচনা করতে হবে, শ্রমিক তার দায়িত্বপালনকালে তা ঘটেছে কিনা তা বিবেচনায় নেয়ার প্রয়োজন নেই। কাজর্যকারণ সম্পর্ক স্বীকৃত হলে দুর্ঘটনাটি পেশাগত দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য হবে।
কোন দুর্ঘটনা শ্রমিকের ইচ্ছাকৃত, নিজের ক্ষতি করার জন্য বা অন্যান্য অপরাধমূলক কাজ অথবা এ ধরনের কাজের ফলে সৃষ্টি হবে না।
– তাদের ইচ্ছাকৃত, নিজের ক্ষতি করার জন্য বা অন্যান্য অপরাধমূলক কাজের ফলে সৃষ্ট কোন দুর্ঘটনা (জখম, বিকলাঙ্গতা বা মৃত্যু) পেশাগত দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য হবে না (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 37 (2)-এর মূলবাক্য)।
– তবে, তাদের কগনিটিভ ফাংশন, ইত্যাদির লক্ষণীয় মাত্রায় অবনতির কারণে কৃত কোন কাজের ফলে সৃষ্ট জখম, বিকলাঙ্গতা বা মৃত্যু যদি নিম্নোক্ত যেকোন একটি কারণের অন্তর্ভুক্ত হয়, তা পেশাগত দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 37 (2)-এর অনুবিধি এবং শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 36):
· কর্ম-সংশ্লিষ্ট কারণে সৃষ্ট মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসা গ্রহণ করেছে বা করছে এমন কোন ব্যক্তি যদি মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত অবস্থায় নিজের ক্ষতি করে;
· পেশাগত দুর্ঘটনার কারণে চিকিৎসা গ্রহণ করছে এমন কোন ব্যক্তি যদি পেশাগত দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত অবস্থায় নিজের ক্ষতি করে;
· প্রত্যক্ষ কারণের উপরে ভিত্তি করে কর্ম-সংশ্লিষ্ট কারণে মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত অবস্থায় নিজের ক্ষতি করেছে বলে স্বীকৃত হয়েছে এমন ক্ষেত্রগুলোতে।