9: 산재보험 বীমার বেনিফিট

Spread the love

যে পক্ষগুলো পরীক্ষণের জন্য অনুরোধ করেছে
পরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারী
– পরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারী বলতে বোঝায় সেই ব্যক্তিকে যার বীমার বেনিফিটের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত ইত্যাদি যাচাইয়ের অনুরোধের ফলাফলের ব্যাপারে প্রতিবাদ জানানোর মাধ্যমে কোন রায়ের সংস্কার বা পরিমার্জন দাবি করার আইনগত অবস্থান রয়েছে। (প্রশাসনিক আপিল আইনের ধারা 13 (1) এবং শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 111 (3))
পরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারীর উত্তরাধিকার হওয়া
– যেখানে কোন পরীক্ষণ বা পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারী মারা যায়, যেখানে যদি বীমার বেনিফিট পাওয়ার কেউ থাকে তাহলে অনুরোধকারীর উত্তরাধিকার হবে বেচে থাকা ব্যক্তিগণ।এবং যদি কেউ না থাকে তাহলে তাদের উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারিণী বা বীমার বেনিফিটের সাথে সংশ্লিষ্ট অধিকার বা স্বার্থের যিনি উত্তরাধিকার যা পরীক্ষণ বা পুণঃপরীক্ষণের বিষয়বস্তুর সাথে সংশ্লিষ্ট (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 110)।
বিবাদী
– পরীক্ষনের জন্য অনুরোধের বিবাদী পক্ষ হল কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিস যেটি বীমা র বেনিফিটের ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত ইত্যাদি প্রদান করেছে যা পরীক্ষণের জন্য অনুরোধের বিষয়বস্তু ছিল। (প্রশাসনিক আপিল আইনের ধারা 17 (1) এবং শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 111 (3))।
পরীক্ষার জন্য অনুরোধ পূরণ করা
পরীক্ষার জন্য অনুরোধের বিষয়বস্তু
– যেকোন ব্যক্তি যিনি কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিসেসের কোন সিদ্ধান্ত ইত্যাদির বিষয়ে অসন্তুষ্ট যা নিম্নলিখিত উপঅনুচ্ছেদগুলোর যেকোন একটির অধীনে পড়ে (পরবর্তীতে একে “বীমার বেনিফিটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ইত্যাদি বলা হয়েছে)সে সার্ভিসের কাছে পরীক্ষণের জন্য একটি অনুরোধ দাখিল করতে পারে। (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 103 (1)):
1. বীমার বেনিফিটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত;
2. চিকিৎসা ব্যয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত;
3. ওষুধের খরচের বিষয়ে সিদ্ধান্ত;
4. চিকিৎসা পরিকল্পনা পরিবর্তন করার কোন পদক্ষেপ ইত্যাদি;
5. বীমার বেনিফিটের কোন থোক টাকা প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত;
6. জটিলতা প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা, ইত্যাদি।;
7. অন্যায্য সুবিধা লাভের বিষয়ে সিদ্ধান্ত;
8. বীমার সুবিধা পাওয়ার উত্তরাধিকারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত।
পরীক্ষার জন্য অনুরোধ জানানোর পদ্ধতি
– সার্ভিসের কোন শাখা অফিস (পরবর্তীতে “আঞ্চলিক সদর দফতর বা শাখা” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে) যে বীমা র বেনিফিটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইত্যাদি প্রদান করেছে তার মাধ্যমে কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিসেসের কাছে পরীক্ষণের জন্য অনুরোধ দাখিল করতে হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 103 (2))।
– নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উল্লেখ করে একটি নথিতে পরীক্ষণের জন্য অনুরোধ দাখিল করতে হবে (পরবর্তীতে একে “পরীক্ষণের জন্য লিখিত অনুরোধ” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে) (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 96 (1)):
· অনুরোধকারীর নাম এবং ঠিকানা (যদি উক্ত অনুরোধকারী কোন কর্পোরেশন হয় তাহলে সেই কর্পোরেশনের নাম এবং অবস্থান এবং তার প্রতিনিধির নাম);
· বীমার বেনিফিটের বিষয়ে সিদ্ধান্তের বিবরণ;
· বীমার বেনিফিটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইত্যাদির ব্যাপারে যে তারিখে অনুরোধকারী জানতে পারলেন;
· পরীক্ষার জন্য অনুরোধের অন্তর্নিহিত অর্থ ও কারণ;
· পরীক্ষণের জন্য অনুরোধের বিষয়টি জানানো হয়েছে কি না এবং প্রজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু।
– যদি পরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারী দুর্ঘটনায় নিপতিত শ্রমিকটি না হয়ে থাকে ( উপরোল্লিখিত চিকিৎসা ব্যয় এবং ওষুধের খরচ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পরীক্ষার জন্য অনুরোধ ব্যতিত), তাহলে উপরে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে তার সাথে সাথে পরীক্ষণের লিখিত অনুরোধে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোও উল্লেখ করতে হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 96 (2)):
· যে শ্রমিকটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে তার নাম;
· দুর্ঘটনার সময় যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকটি কর্মরত ছিল তার নাম এবং অবস্থান
· যদি কোন নিযুক্ত প্রতিনিধি বা এজেন্ট পরীক্ষণের জন্য অনুরোধটি দাখিল করে থাকে তাহলে উপরোল্লিখিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি পরীক্ষণের লিখিত অনুরোধে নিযুক্ত প্রতিনিধির নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 96 (3))।
– পরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারী বা তাদের এজেন্ট কর্তৃক পরীক্ষণের লিখিত অনুরোধটি স্বাক্ষরিত ও সিলমোহরযুক্ত হতে হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 96 (4))।
পরীক্ষণের জন্য অনুরোধের সময়কাল
– বীমার বেনিফিটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইত্যাদি অবগত হবার ৯০ দিনের মধ্যে পরীক্ষণের জন্য অনুরোধ দাখিল করতে হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 103 (3))।
পরীক্ষার জন্য করা অনুরোধ সংশোধন এবং খারিজ করে দেয়ার আবেদন
– পরীক্ষণের জন্য অনুরোধ জানানোর নির্দিষ্ট মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হবার পর যদি অনুরোধ দাখিল করা হয় বা সংবিধিতে যেসব আনুষ্ঠানিকতার কথা বলা হয়েছে তা যদি এমন পর্যায়ে লঙ্ঘন করা হয় যা সংশোধনযোগ্য নয়, বা যদি কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিসেসের বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে সংশোধন করা না যায় , তাহলে সার্ভিস এটি খারিজ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 97 (1))।
– যদি কোন পরীক্ষণের জন্য অনুরোধ আইনগত আনুষ্ঠানিকতাকে লঙ্ঘন করে থাকে এবং তা সংশোধন করা সম্ভব হয় তাহলে কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিস যৌক্তিক সময়ের মধ্যে তা সংশোধনের জন্য অনুরোধকারীকে তলব করবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 97 (2) প্রধান বাক্য)।
※ যদি যা সংশোধন করতে হবে তা তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না হয়, তাহলে কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিস তা নিজ কর্তৃত্ব বলে সংশোধন করে নিতে পারে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির 97 (2) ধারার শর্ত)।
বীমার বেনিফিটের বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত ইত্যাদির বাস্তবায়ন স্থগিত রাখা
বীমার বেনিফিটের বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত ইত্যাদির বাস্তবায়ন স্থগিত রাখা
– পরীক্ষণের জন্য অনুরোধ সংশ্লিষ্ট বীমার বেনিফিটের বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত ইত্যাদির বাস্তবায়নকে স্থগিত রাখতে পারবে না (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 98 (1)-এর প্রধান বাক্য)।
※ তবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কারণে ঘটা গুরুতর ক্ষতি এড়ানো যদি জরুরি হয়ে পড়ে, তাহলে কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিস সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন স্থগিত রাখতে পারে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির 98 (1) ধারার শর্ত)।
– যদি কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিস বীমার বেনিফিটের বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত ইত্যাদির বাস্তবায়নকে স্থগিত রাখে, তাহলে সার্ভিস একটি নথিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উল্লেখ করে তা পরীক্ষনের জন্য অনুরোধকারীকে অনতিবিলম্বে জানাবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 98 (2) এবং (3)):
· পরীক্ষণের জন্য অনুরোধের সাথে সংশ্লিষ্ট মামলার শিরোনাম;
· যে বীমার বেনিফিটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইত্যাদি স্থগিত রাখা হয়েছে এবং বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার বিস্তারিত বিবরণ;
· পরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারীর নাম এবং ঠিকানা;
· বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার কারণ।
পরীক্ষণের জন্য অনুরোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
পরীক্ষণের জন্য অনুরোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
– একটি নথিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উল্লেখ করে পরীক্ষণের জন্য অনুরোধ দাখিল করা হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 101 (1) and (2))।
1. মামলার নম্বর ও শিরোনাম;
2. পরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারীর নাম ও ঠিকানা (যদি অনুরোধকারী কোন কর্পোরেশন হয়ে থাকে তাহলে সেই কর্পোরেশনের নাম এবং অবস্থান এবং তার প্রতিনিধির নাম);
3. নিযুক্ত প্রতিনিধি বা এজেন্টের নাম ও ঠিকানা (নিযুক্ত প্রতিনিধি বা এজেন্ট কর্তৃক দাখিলকৃত পরীক্ষণের জন্য অনুরোধের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ);
4. যদি পরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারী দুর্ঘটনায় নিপতিত শ্রমিকটি না হয়ে থাকে তাহলে দুর্ঘটনায় নিপতিত শ্রমিকটির নাম এবং ঠিকানা;
5. মূল লেখা;
6. পরীক্ষণের জন্য অনুরোধের অন্তর্নিহিত অর্থ;
7. কারণ বা হেতু;
8. সিদ্ধান্তের তারিখ।
পরীক্ষণের বিষয়ে সিদ্ধান্তের মূল কপি ইত্যাদি পাঠানো
– যখন কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিস কোন পরীক্ষণের অনুরোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, তখন সে পরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারীকে পরীক্ষণের বিষয়ে নেয়া লিখিত সিদ্ধান্তের মূল কপি পাঠাবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 101 (3))।
– যখন কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিস বীমার বেনিফিট বা পরীক্ষণের জন্য অনুরোধের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সে অন্য পক্ষকে বা পরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারীকে সে বীমার বেনিফিটের বিষয়ে বা পরীক্ষণের জন্য অনুরোধের বিষয়ে যে সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে তা পরীক্ষণের বা পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধ জানাতে পারবে কি না এবং তারা যদি অনুরোধ জানায় তাহলে তার পদ্ধতি ও সময়কাল অবহিত করবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 101 (4))।
যেসব পক্ষ পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধ জানায়
পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনরোধকারী
– কোন ব্যক্তি যদি পরীক্ষণের জন্য অনুরোধের বিষয়ে পাওয়া সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট হয় তাহলে সে শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা পুনঃপরীক্ষণ কমিটির কাছে অনুরোধ দাখিল করতে পারে (পরবর্তীতে “পুনঃপরীক্ষণ কমিটি” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে) (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 106 (1)-এর প্রধান বাক্য)।
– বীমার বেনিফিটের বিষয়ে অকুপেশনাল ডিজিজ অ্যাডজুডিকেশন কমিটি যে সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে সে ব্যাপারে কোন ব্যক্তি অসন্তুষ্ট থাকলে সে শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 103 মোতাবেক পরীক্ষণের জন্য অনুরোধ দাখিল না করেই পুনঃপরীক্ষণের অনুরোধ জানাতে পারে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা Article 106 (1)-এর শর্ত)।
পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারীর উত্তরাধিকার হওয়া
– পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারী যদি মারা যায়, সে যদি বীমার বেনিফিট পাওয়ার যোগ্য হয়, তাহলে শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 62 (1) বা 81 মোতাবেক তাদের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা তাদের উত্তরাধিকার হবে। এবং যদি কেউ না থাকে তাহলে তাদের উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারিণী বা বীমার বেনিফিটের সাথে সংশ্লিষ্ট অধিকার বা স্বার্থের যিনি উত্তরাধিকার যা পরীক্ষণ বা পুণঃপরীক্ষণের বিষয়বস্তুর সাথে সংশ্লিষ্ট (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 110)।
পুনঃপরীক্ষণের বিবাদী পক্ষ
– পুনঃপরীক্ষণের বিবাদী পক্ষ হল কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিস যেটি বীমার বেনিফিটের ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত ইত্যাদি প্রদান করেছে। (প্রশাসনিক আপিল আইনের ধারা 17 (1) এবং শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 111 (3))।
পুনঃপরীক্ষার জন্য অনুরোধ পূরণ করা
পুনঃপরীক্ষার জন্য অনুরোধ জানানোর পদ্ধতি
– পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধ কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিসের শাখা অফিসের (পরবর্তীতে “আঞ্চলিক সদর দফতর বা শাখা” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে) মাধ্যমে পুনঃপরীক্ষণ কমিটির কাছে দাখিল করতে হবে। (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 106 (2))।
– নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উল্লেখ করে একটি নথিতে পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধ দাখিল করতে হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 105 (1))।
· পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারীর নাম এবং ঠিকানা (যদি উক্ত পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারী কোন কর্পোরেশন হয় তাহলে সেই কর্পোরেশনের নাম এবং অবস্থান এবং তার প্রতিনিধির নাম);
· বীমার বেনিফিটের বিষয়ে সিদ্ধান্তের বিবরণ যা পুনঃপরীক্ষণের বিষয়বস্তু;
· পরীক্ষণের জন্য অনুরোধের বিষয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপারে যে তারিখে অনুরোধকারী জানতে পারলেন; (বীমার বেনিফিটের বিষয়ে অকুপেশনাল ডিজিজ অ্যাডজুডিকেশন কমিটি যে সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে সে ব্যাপারে অসন্তুষ্ট ব্যক্তি পরীক্ষণের জন্য অনুরোধ দাখিল না করেই বীমার বেনিফিটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইত্যাদি পুনঃপরীক্ষণের অনুরোধ জানাতে পারে);
· পুনঃপরীক্ষার জন্য অনুরোধের অন্তর্নিহিত অর্থ ও কারণ;
· পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধের বিষয়টি জানানো হয়েছে কি না এবং প্রজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু।
– যদি পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারী দুর্ঘটনায় নিপতিত শ্রমিকটি না হয়ে থাকে (চিকিৎসা ব্যয় এবং ওষুধের খরচ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পরীক্ষার জন্য অনুরোধ ব্যতিত), তাহলে উপরে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে তার সাথে সাথে পুনঃপরীক্ষণের লিখিত অনুরোধে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোও উল্লেখ করতে হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 96 (2) এবং 105 (2))।
· যে শ্রমিকটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে তার নাম;
· দুর্ঘটনার সময় যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকটি কর্মরত ছিল তার নাম এবং অবস্থান;
· যদি কোন নিযুক্ত প্রতিনিধি বা এজেন্ট পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধটি দাখিল করে থাকে তাহলে উপরোল্লিখিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি পরীক্ষণের লিখিত অনুরোধে নিযুক্ত প্রতিনিধির নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 96 (3) এবং 105 (2))।
– পরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারী বা তাদের এজেন্ট কর্তৃক পরীক্ষণের লিখিত অনুরোধটি স্বাক্ষরিত ও সিলমোহরযুক্ত হতে হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 96 (4) এবং 105 (2))।
পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধের সময়কাল
– বীমার বেনিফিটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইত্যাদি অবগত হবার 90 দিনের মধ্যে পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধ দাখিল করতে হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 106 (3)-এর প্রধান বাক্য)।
– বীমার বেনিফিটের বিষয়ে অকুপেশনাল ডিজিজ অ্যাডজুডিকেশন কমিটি যে সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে সে ব্যাপারে অসন্তুষ্ট ব্যক্তি পরীক্ষণের জন্য অনুরোধ দাখিল না করেই বীমার বেনিফিটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইত্যাদি পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধ জানালে বীমার বেনিফিটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত অবগত হবার 90 দিনের মধ্যে অনুরোধটি জানাতে হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 106 (3))।
পুনঃপরীক্ষার জন্য করা অনুরোধ সংশোধন এবং খারিজ করে দেয়ার আবেদন
– পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধ জানানোর নির্দিষ্ট মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হবার পর যদি অনুরোধ দাখিল করা হয় বা সংবিধিতে যেসব আনুষ্ঠানিকতার কথা বলা হয়েছে তা যদি এমন পর্যায়ে লঙ্ঘন করা হয় যা সংশোধনযোগ্য নয়, বা যদি পুনঃপরীক্ষণ কমিটির বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে সংশোধন করা না যায় , তাহলে পুনঃপরীক্ষণ কমিটি এটি খারিজ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 97 (1) এবং 113 ধারা )।
– যদি কোন পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধ আইনগত আনুষ্ঠানিকতাকে লঙ্ঘন করে থাকে এবং তা সংশোধন করা সম্ভব হয় তাহলে পুনঃপরীক্ষণ কমিটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে তা সংশোধনের জন্য অনুরোধকারীকে তলব করবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 97 (2) এর প্রধান বাক্য এবং ধারা 113)।
※ যদি যা সংশোধন করতে হবে তা তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না হয়, তাহলে পুনঃপরীক্ষণ কমিটি তা নিজ কর্তৃত্ব বলে সংশোধন করে নিতে পারে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির 97 (2) ধারার শর্ত এবং ধারা 113)।
বীমার বেনিফিটের বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত ইত্যাদির বাস্তবায়ন স্থগিত রাখা
বীমার বেনিফিটের বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত ইত্যাদির বাস্তবায়ন স্থগিত রাখা
– পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধ সংশ্লিষ্ট বীমার বেনিফিটের বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত ইত্যাদির বাস্তবায়নকে স্থগিত রাখতে পারবে না (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 98 (1) -এর প্রধান বাক্য এবং ধারা 113)।
※ তবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কারণে ঘটা গুরুতর ক্ষতি এড়ানো যদি জরুরি হয়ে পড়ে, তাহলে পুনঃপরীক্ষণ কমিটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন স্থগিত রাখতে পারে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির 98 (1) ধারার শর্ত এবং ধারা 113)।
– পুনঃপরীক্ষণ কমিটি বীমার বেনিফিটের বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত ইত্যাদির বাস্তবায়নকে স্থগিত রাখে, তাহলে কমিটি একটি নথিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উল্লেখ করে তা পুনঃপরীক্ষনের জন্য অনুরোধকারীকে অনতিবিলম্বে জানাবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 98 (2) এবং (3) এবং 113)।
· পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধের সাথে সংশ্লিষ্ট মামলার শিরোনাম;
· যে বীমার বেনিফিটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইত্যাদি স্থগিত রাখা হয়েছে এবং বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার বিস্তারিত বিবরণ;
· পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারীর নাম এবং ঠিকানা;
· বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার কারণ।
পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধের বিষয়ে রায়
পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধের বিষয়ে রায় প্রদানের পদ্ধতি
– একটি নথিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উল্লেখ করে পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধের বিষয়ে রায় প্রদান করা হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 101 (1) এবং (2) এবং 113):
1. মামলার নম্বর ও শিরোনাম;
2. পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারীর নাম ও ঠিকানা (যদি অনুরোধকারী কোন কর্পোরেশন হয়ে থাকে তাহলে সেই কর্পোরেশনের নাম এবং অবস্থান এবং তার প্রতিনিধির নাম);
3. নিযুক্ত প্রতিনিধি বা এজেন্টের নাম ও ঠিকানা (নিযুক্ত প্রতিনিধি বা এজেন্ট কর্তৃক দাখিলকৃত পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ);
4. যদি পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারী দুর্ঘটনায় নিপতিত শ্রমিকটি না হয়ে থাকে তাহলে দুর্ঘটনায় নিপতিত শ্রমিকটির নাম এবং ঠিকানা;
5. মূল লেখা;
6. পরীক্ষণের জন্য অনুরোধের অন্তর্নিহিত অর্থ;
7. কারণ বা হেতু;
8. রায় প্রদানের তারিখ।
লিখিত রায়ের মূল কপি ইত্যাদি পাঠানো
– যখন কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিস কোন পুনঃপরীক্ষণের অনুরোধের বিষয়ে রায় প্রদান করবে, তখন সে পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারীকে পুনঃপরীক্ষণের বিষয়ে নেয়া লিখিত রায়ের মূল কপি পাঠাবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 101 (3) এবং 113 )।
– পুনঃপরীক্ষণের বিষয়ে যদি পুনঃপরীক্ষণ কমিটি কোন রায় প্রদান করে তাহলে তারা পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধকারীকে জানাবে যে সে এই রায়ের বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক মামলা দায়ের করতে পারবে কি না এবং মামলা দায়েরের পদ্ধতি ও সময়কাল কি হবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 101 (4) এবং 113)।
পুনঃপরীক্ষণ কমিটির রায়ের কার্যকারিতা
– পুনঃপরীক্ষণ কমিটির রায় কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিস মানতে বাধ্য থাকবে (শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের বলবৎ ডিক্রির ধারা 109 (2) )।
প্রশাসনিক মামলার সংজ্ঞা
প্রশাসনিক মামলার সংজ্ঞা
– “প্রশাসনিক মামলা” বলতে বোঝায় সরকারি আইনের (পাবলিক ল) আইনগত সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রে বিবাদ মীমাংসার জন্য যে বিচার ব্যবস্থা আছে। অর্থাৎ প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর কোন বেআইনী সিদ্ধান্তের কারণে নাগরিকদের স্বার্থ এবং অধিকার ক্ষুন্ন হলে তাদের অধিকার রক্ষার জন্য যে বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। এবং সরকারি আইন এবং আইনের প্রয়োগের ভিত্তিতে অধিকার সংক্রান্ত বিবাদের সঠিক মীমাংসা নিশ্চিত করা এবং সরকারি কর্তৃত্ব প্রয়োগ করা বা প্রয়োগ না করা। (উৎস: সউল প্রশাসনিক আদালত)।
রদ করার মামলার সংজ্ঞা
রদ করার মামলার সংজ্ঞা
– “রদ করার মামলা” বলতে বোঝায় কোন প্রশাসনিক সংস্থার কোন বেআইনী সিদ্ধান্ত বাতিল বা পরিবর্তন করার জন্য মামলা (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 4 –এর উপঅনুচ্ছেদ 1)।
রদ করার মামলার বিষয়বস্তু
রদ করার মামলার বিষয়বস্তু
– কোন সিদ্ধান্ত ইত্যাদি রদ করার মামলার বিষয়বস্তু হবে।
– “সিদ্ধান্ত ইত্যাদির” অর্থ হল কোন বিশেষ ঘটনার সাথে সম্পর্কিত কোন বিষয়ে আইন প্রয়োগের জন্য সরকারি কর্তৃত্বকে প্রয়োগ করা বা প্রয়োগ করতে অস্বীকার করা, এ জাতীয় অন্যান্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ (এখানে পরবর্তীতে “সিদ্ধান্ত” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে) এবং প্রশাসনিক আপিলের বিষয়ে একটি রায় (প্রশাসনিক মামলার আইনের ধারা 2 (1)-এর উপঅনুচ্ছেদ 1)।
রদ করার মামলার পক্ষদ্বয়
বাদী
– কোন সিদ্ধান্ত, ইত্যাদির রদ চাওয়ার বিষয়ে যে ব্যক্তির আইনগত স্বার্থ রয়েছে সে রদ মামলা দায়ের করতে পারে। (প্রশাসনিক মামলার আইনের ধারা 12 পূর্ববর্তী অংশ)
– সুতরাং, বীমার বেনিফিটের সুবিধাভোগী কোন ব্যক্তি যিনি বীমার বেনিফিটের বিষয়ে কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কর্তৃত্ব প্রাপ্ত কোরিয়া ওয়ার্কার্স কম্পেনসেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সার্ভিসের প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে, পরীক্ষণের অনুরোধের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বা পুনঃপরীক্ষণের অনুরোধের বিষয়ে কোন রায়ের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট তিনি শিল্প ক্ষতিপূরণ বীমা আইনের ধারা 10-এর অধীনে একটি প্রশাসনিক মামলা দায়ের করতে পারেন।
বিবাদী
– অন্যান্য আইনে যদি অন্য কিছু বলা না হয়ে থাকে, তাহলে রদ আইনে বিবাদী পক্ষ হবেন সেই প্রশাসনিক সংস্থা যিনি সিদ্ধান্তটি প্রদান করেছেন। (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 13-এর পূর্ববর্তী অংশ)।
· উপরোল্লিখিত প্রশাসনিক সংস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বিভিন্ন প্রশাসনিক অঙ্গসংস্থা, সরকারি দফতর এবং তাদের অঙ্গসংগঠন বা আইন ও অধিনস্ত প্রবিধানের অধীনে প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রাপ্ত বেসরকারি ব্যক্তিবর্গ (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 2 (1)-এর উপঅনুচ্ছেদ 3)।
· সুতরাং, বীমার বেনিফিটের বা পরীক্ষণের অনুরোধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে রদ মামলার বিবাদী পক্ষ হল কোরিয়া ওয়ার্কার্স কম্পেনসেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সার্ভিস যিনি বীমার বেনিফিট বা পরীক্ষণের অনুরোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কর্তৃত্ব প্রাপ্ত। পুনঃপরীক্ষণের অনুরোধের ওপর রায়ের বিষয়ে রদ মামলার বিবাদী পক্ষ হল শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমার পুন:পরীক্ষণ কমিটি। এই কমিটি পুনঃপরীক্ষণের বিষয়ে রায় প্রদানের জন্য কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কর্তৃত্ব প্রাপ্ত।
রদ করার মামলা দায়ের করা
লিখিত অভিযোগ দায়ের করা
– বীমার বেনিফিটের বিষয়ে কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিসের কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি রদ করার মামলা দায়ের করতে চাইলে প্রশাসনিক আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে সে তা করতে পারে (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা8 (2) এবং 9 এবং নাগরিক কার্যধারা আইনের ধারা 248)।
· যিনি রদ করার মামলা দায়ের করবেন তিনি মামলার মূল্য অনুসারে লিখিত অভিযোগের সাথে একটি ডাকটিকেট এবং কোন প্রশাসনিক আদালতের ব্যাংকে ডেলিভারি ফি প্রদান করার পর ডেলিভারি ফি’র রশিদ যুক্ত করবেন (উৎস: সউল প্রশাসনিক আদালত)।
· সউলে সউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে হবে। কোন এলাকায় যদি কোন প্রশাসনিক আদালত না থাকে, তাহলে প্রশাসনিক আদালত প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক জেলা আদালতে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করতে হবে [আদালত বিন্যাস আইনের ধারা 3 (1) –এর উপঅনুচ্ছেদ 6 এবং আদালত বিন্যাস আইনের ধারা 40-4 এবং আদালত বিন্যাস আইনের সংযোজনীর ধারা 2 (আইন নং 4765)]।
লিখিত অভিযোগে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
– লিখিত অভিযোগে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো থাকতে হবে এবং পক্ষ বা তাদের প্রতিনিধিরা তাদের নাম এবং সিলমোহর বা স্বাক্ষর প্রদান করবেন (প্রশাসনিক মামলার আইনের ধারা 8 (2) এবং নাগরিক কার্যধারা আইনের ধারা 249 এবং 274 (1)):
· পক্ষদ্বয়ের নাম, পদবী বা ট্রেড নেম এবং স্থায়ী ঠিকানা;
· প্রতিনিধিদিরে নাম ও স্থায়ী ঠিকানা;
· মামলার উল্লেখ করা;
· আত্মপক্ষ সমর্থনের উপায়;
· অন্য পক্ষের দাবি ও তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে বিবৃতি;
· দলিলপত্রের প্রশাণ;
· প্রস্তুত করার তারিখ;
· আদালতের প্রমাণ।
মামলা দায়েরের সময়কাল
– মামলা দায়েরের সময়কাল
· সিদ্ধান্ত ইত্যাদি অবগত হওয়ার 90 দিনের মধ্যে রদ মামলা দায়ের করতে হবে ( প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 20 (1) প্রধান বাক্য)।
· সিদ্ধান্ত ইত্যাদি প্রদানের তারিখ থেকে এক বছরকাল অতিক্রান্ত হয়ে গেলে রদ মামলা দায়ের করা যাবে না (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 20 (2) প্রধান বাক্য)।
※ যদি কোন যৌক্তিক কারণ থাকে, তাহলে এমনকি একবছর অতিক্রান্ত হবার পরও রদ মামলা দায়ের করা যাবে (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 20 (2) প্রধান বাক্য)।
প্রশাসনিক মামলা এবং পরীক্ষণ/পুনঃপরীক্ষণের সিদ্ধান্তের মধ্যে সম্পর্ক
– বীমার বেনিফিটের বিষয়ে কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন এবং ওয়েলফেয়ার সার্ভিসের কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট কোন ব্যক্তি ① পরীক্ষণ বা পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধ না জানিয়ে সরাসরি রদ মামলা দায়ের করতে পারে, ② স্বেচ্ছায় পরীক্ষণ বা পুনঃপরীক্ষণের জন্য অনুরোধ জানানোর পর রদ মামলা দায়ের করতে পারে বা ③ স্বেচ্ছায় পরীক্ষণের জন্য অনুরোধ জানানোর এবং অনুরোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত লাভের পর সরাসরি রদ মামলা দায়ের করতে পারে (প্রশাসনিক মামলা আইনের ধারা 18 (1) এবং 26, 2002 তারিখে প্রদত্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়, মামলা নং 2002Du 6811)।
রদ মামলার বিষয়ে পরীক্ষণ
শর্তাবলি পরীক্ষা করা
– দায়েরকৃত মামলাটি মামলা দায়েরের শর্তাবলি পূরণ করেছে কি না তা নির্ধারণের জন্য পরীক্ষণ পরিচালনা করা হবে। যদি না করে থাকে তাহলে মামলাটিকে বেআইনি অ্যাখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেয়া হবে।
– শর্তাবলি পরীক্ষণের সময় যে বিষয়গুলো দেখা হবে তা হল পক্ষদ্বয়ের যোগ্যতা, মামলা দায়েরের সময়কাল, বিচার পূর্ব প্রক্রিয়া ইত্যাদি। এগুলো হল মামলার যর্থার্থতা নির্ধারণের পূর্ব শর্ত।
যর্থার্থতা পরীক্ষা করা
– বাদীর দায়ের করা মামলার বাস্তব বিষয়বস্তু পরীক্ষণের মাধ্যমে মামলাটি গ্রহণ করা হবে না প্রত্যাখান করা হবে তা নির্ধারণের জন্য যর্থার্থতা যাচাইয়ের পরীক্ষাটি করা হয়। যা মামলার শর্তাবলি পরীক্ষণের ফলাফল স্বরূপ আইনগতভাবে আবশ্যক। যর্থার্থতা পরীক্ষণের পর মামলার বিষয়বস্তুকে যদি যৌক্তিক মনে হয় তাহলে মামলাটি গ্রহণ করা হবে এবং মামলার বিষয়বস্তুকে যদি যৌক্তিক মনে না করা হয় তাহলে তা প্রত্যাখান করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *