কোরিয়ার যোগাযোগব্যবস্থা

Spread the love

দেশের অভ্যন্তরে যেকোন শহরে স্থলপথে যোগাযগের জন্য বাস ও ট্রেন উভয়ই জনপ্রিয়। দেশের গুরুত্বপূর্ন মেট্রো শহরের সাথে অত্যাধুনিক দ্রুতগতি সম্পন্ন ট্রেন লাইন রয়েছে। এই লাইনের টিকেটের দাম স্বাভাবিকভাবেই তুলনামূলকভাবে দামী। সাধারণ গতির ট্রেনের লাইন বিস্তৃত এবং ছোট বড় প্রায় সব শহরগামী। ট্রেনের মত, বাসেরও রয়েছে রকমফের। রাজধানীর সাথে অন্যান্য শহরের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সাধারণ, ইকোনমি এবং প্রিমিয়াম তিন ধরনের বাস সার্ভিস উপলব্ধ। এক্ষেত্রে সেবার ভিন্নতা যাতায়াত সময়ের ক্ষেত্রে খুব একটি ভিন্নতা আনে না।

বড় শহরের ভিতরে যাতায়াতের জন্য সাবওয়ে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সেবা। শহর জুড়ে বাস সেবা থাকলেও সাবওয়ে অপেক্ষাকৃত দ্রুততর এবং বিস্তৃত। অপেক্ষাকৃত ছোট শহরে বাস সেবা অধিক প্রচলিত।

ইলেক্ট্রিক কার্ড বা টি-মানির মাধ্যমে বাস এবং সাবওয়ে উভয়তেই ভাড়া পরিশোধ করা যায়। বাসের ভাড়া নগদ ক্যাশে পরিশোধ করা সম্ভব হলেও সাবওয়ের টিকেট প্রতি স্টেশনে থাকা ভেন্ডিং মেশিন থেকে কিনতে হয়। টি-মানি বা ইলেক্ট্রিক কার্ডে ভাড়া পরিশোধে বিশেষ ছাড়ের সুবিধা আছে। মধ্যরাতে রাত্রীকালীন বাস ছাড়া সকল জনপরিবহন সেবা বন্ধ থাকে। এছাড়াও এই শহরে ট্যাক্সি সহজলভ্য। স্থানীয় জনগনের মধ্যে মোবাইল এপ “কাকাওট্যাক্সি” ব্যবহার করে ট্যাক্সি ভাড়া নেয়ার প্রবণতা বেশি। টাক্সি ভাড়া শুরু হয় ২৮০০ ওন (প্রায় ২.৫ ডলার) থেকে, যা মধ্যরাতে কিছুটা বৃদ্ধি পায়। ট্যাক্সি ভাড়াও টি-মানি বা নগদে পরিশোধ যোগ্য।

শহরের মধ্যে স্বল্প দূরত্বের যাতায়াতের জন্য বাইসাইকেল ভাড়া করা যায়। গুরুত্বপূর্ন বাসস্টপের পাশেই থাকা সারিবদ্ধ বাইসাইকেল থেকে ইলেক্ট্রিক কার্ড (যা আঞ্চলিকভাবে টি-মানি কার্ড নামে পরিচিত) দিয়ে বাইসাইকেল ভাড়া করা যায়। সড়কের পাশে ফুটপাথ সংলগ্ন বাইসাইকেল চলার জন্য আলাদা রাস্তা নকশা করা আছে।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *